রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী-আরএনবিতে যেন ভূত চেপেছে। যার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মামলা, এবার সেই আসামিই হয়ে উঠলেন ৮০৬ জন সিপাহি নিয়োগ কমিটির প্রধান! তিনি আর কেউ নন পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম।
২০১৭ সালে ১৮৫ জন সিপাহি পদে লোক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ কারণে তাঁকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য অভিযুক্ত সেই জহিরুলকে আবারও এ নিয়োগ কমিটির প্রধান করায় গোটা রেলে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। নিয়োগ আর বদলি বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের পদোন্নতি এবং পছন্দের পাত্রদের গুরুদণ্ডের পরিবর্তে লঘুদণ্ড কিংবা দণ্ড মওকুফ করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে রেলের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বদলি করা হলেও সেখানে যাননি তিনি। রাতারাতি বদলে যায় সরকারি আদেশ।
জানা যায়, সিপাহি নিয়োগে কোটায় চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার জন্য বড় ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেন জহিরুল ইসলামসহ রেলের পাঁচ কর্মকর্তা। সিপাহি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাসের কাছাকাছি নম্বর দিলেও মৌখিক পরীক্ষায় তাঁদের অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়। কোটায় পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষায়ও পাস দেখানো হয়। আবার বিভাগীয় কোটা, জেলা কোটাসহ অন্য কোটায় বিধি মেনে নিয়োগ না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়। তদন্তে এমন সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রামের একটি আদালতে জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।