রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্য ও বিশ্বজুড়ে আজীবনই এক পরিচিত মুখ চার্লস। তবে রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লস কেমন হবেন, তা এখনো অজানা। রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কীভাবে শাসনকাজ চালাবেন, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
চার্লস কেমন মনোভাব পোষণ করেন কিংবা তিনি কেমন রাজা হতে পারেন, তা নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ রাজশাসন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সিএনএনের সাংবাদিক ম্যাক্স ফস্টার নিবন্ধটি লিখেছেন। নিবন্ধটির আলোকে চার্লস মানুষ হিসেবে কেমন কিংবা তিনি কেমন কাজ করতে চান, তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে চার্লসের অবস্থান
১৯৬৮ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব নিয়ে সোচ্চার হন চার্লস। তখন থেকে এটি মূলধারার ইস্যুতে পরিণত হয়। কারও কারও জন্য এটি আবার রাজনৈতিক ইস্যুও হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির এক অন্যতম সমর্থক ছিলেন চার্লস। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
২০২০ সালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চলার ফাঁকে সিএনএনের ওই সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেন চার্লস। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার ব্যাপারে তখনো আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চার্লস বলেন, ‘প্রতি মাসে উষ্ণতা বৃদ্ধির নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। আমরা এভাবে চলতে দিতে পারি না। আমরা যদি হাল ছেড়ে দিই এবং দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে দিই, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।’