প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণ খুলে হাসলে আনন্দ হয়। পছন্দের গান শুনলে, সকালের রোদে হাঁটতে গেলে বা বিকেলে মাঠে খেলাধুলা করলে আমাদের মন ফুরফুরে লাগে। আবার ছোট শিশুকে আদর করলে স্নেহের অনুভূতি হয়। ভালোবাসার মানুষের সান্নিধ্যে থাকলে সুখানুভূতি হয়। এই যে বিভিন্ন আবেগ—এগুলো কি সব শরীরের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া?
আমাদের মস্তিষ্কে আনন্দ অনুভূতির ওপর কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব আছে। সাধারণ ভাষায় এগুলোকে বলে ‘হ্যাপি হরমোন’। আনন্দের অনুভূতির সময় এই হরমোনগুলো বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়। এসব হরমোন নিঃসৃত হলে আনন্দের অনুভূতির মাত্রা বেড়ে যায়। হ্যাপি হরমোন মূলত চারটি—ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এনডরফিন। এই লেখায় ডোপামিন ও অক্সিটোসিন—এই দুটি হরমোন নিয়ে আরোচনা করা হবে। শুধু আবেগ-অনুভূতির ওপরেই নয়, এই হরমোনগুলো নিউরো-ট্রান্সমিটার হিসেবে শরীরে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন হাঁটাচলার গতি, ছন্দ নির্ধারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, মনোযোগ ও স্মৃতিগঠন, খাদ্য পরিপাক ইত্যাদি। স্কিজোফ্রেনিয়া, পারকিনসন রোগের পেছনে ডোপামিন ও সেরোটোনিনের অনুপাতের অসামঞ্জস্য দায়ী।