ফাইনালে উঠার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। এবং সেটা এক ম্যাচ হাতে রেখেই। লক্ষ্যে অটুট থেকে ক্ষুরধার বোলিং করল পাকিস্তান। তাতেই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে ১২৯ রানে ধসিয়ে দিলো তারা।
শুরুতে ব্যাটিং ঝলক দেখান আফগান ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার আগে বিনা উইকেটেই তারা তুলে ফেলে ৩৬ রান। এরপরই হারিস রউফের আঘাতে ভেঙে যায় রহমানুল্লাহ গুরবাজের (১৭) উইকেট। দলীয় ৪৩ রানে আফগানরা হারায় দ্বিতীয় উইকেট। পঞ্চম ওভারে এক বল বাকি থাকতেই নাই হয়ে যায় হজরতুল্লাহ জাজাইয়ের (২১) উইকেট। দলীয় স্কোর তখন ৪৩।
তবে দলের বিপদ কাটিয়ে উঠে ব্যাট হাতে লড়াই করে যান ইব্রাহিম জাদরান। খেলেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। তাকে সঙ্গ দেন করিম জান্নাত। তবে তিনি ব্যক্তিগত স্কোরটা বড় করতে পারেননি ১৫ রান নিয়ে ধরেন সাজঘরের পথ। দুজনের জুটি দাঁড়ায় ৩৯ বলে ৩৫ রানের। পরে পাকিস্তানের ক্ষুরধার বোলিংয়ের দাপটে আস্তে আস্তে কমে যায় আফগানদের রানের গতি। নাজিবুল্লাহ জাদরান যোগ করেন মাত্র ১০। শেষ দিকে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখালেও দলীয় সংগ্রহটা বড় করতে পারেননি আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১০*) ও রশিদ খান (১৮*)। যদিও দুজনে থেকে যান অপরাজিত।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। এজন্য তিনি খরচ করেন ২৬ রান। একটি করে উইকেট পান নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান।