প্রাচীনকাল থেকেই রান্না এবং ঔষধি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে মেথি। এর বীজে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা রোগ-প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। মেথি রোগজীবাণু ধ্বংস করে, কৃমি, রক্তে চিনির মাত্রা, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়। বার্ধক্য দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতেও মেথির ভূমিকা অনন্য।
খাবারে
নিরামিষ রান্নায় আমরা যে পাঁচফোড়ন ব্যবহার করি তার অন্যতম উপাদান মেথি। পনির, মাছ রান্না ছাড়াও নানা রেসিপিতে মেথি ব্যবহার করা হয়। মেথি শাক খুবই উপকারী। এটি রক্তের কোলেস্টেরল কমায় ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। মেথিপাতা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ভেতর থেকে দূর করে। চুল পাকা রোধ করে।
চুল পড়া রোধে
মেথিতে আয়রন এবং ভিটামিনের নানা উপাদান থাকায় চুল পায় পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ। চুলে নিয়মিত মেথির প্যাক ব্যবহার করলে রুক্ষ প্রাণহীন চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চুল পড়া রোধে বহুকাল ধরে মেথির ব্যবহার চলে আসছে। নিয়ম করে এটি খাওয়া যেতে পারে। আবার বেটে মাথার চুলে লাগালে চুল ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। আবার মেথিবাটা সারা রাত নারকেল তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে সকালে চুলে মাখলেও পাওয়া যায় উপকারিতা।
বদহজম হলে তা দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে মেথি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বাইরে বের করে দেয়। আর তাই সারা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে এর পানি খেলে মেলে উপকার।