বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে তোড়জোড় চলছে। চলতি মাসেই এ কমিটি ঘোষণা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলেরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এ কমিটিও ঘোষণা করা হবে। দুই সংগঠনেই পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন। তাঁরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা যায়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিও ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
ছাত্রদল: কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২০০১ সালের এসএসসি ব্যাচকে ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে। এরপরও কমিটি গঠনে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বশীলদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অন্তর্ভুক্ত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মহানগরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী পদপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন। সম্প্রতি ওইসব ইউনিট কমিটি গঠন করায় বিগত কমিটির সাবেক নেতারা যে কোনো মূল্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে চাইছেন। বিগত কমিটি ঢাউস আকারের হওয়ায় একেকটি ইউনিটের কয়েক শতাধিক পদধারী নেতা পদশূন্য হয়ে পড়েন। এর বাইরে ঢাকা মহানগরের ৪টি ইউনিটেরও অসংখ্য নেতাকর্মী নতুন কমিটির পদ থেকে ছিটকে পড়ায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে চাইছেন। অন্যদিকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান কোনোভাবেই কেন্দ্রীয় কমিটিকে বড় না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে প্রতিযোগিতার মাত্রায় ভিন্নরূপ পেয়েছে বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, একদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে চাওয়া পদপ্রত্যাশীদের আধিক্য অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটি ছোট করার সিদ্ধান্তের ফলে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করে ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে চাইছেন ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
যুবদল: গত ২৭ মে কেন্দ্রীয় যুবদলের সুপার আট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি করা হয় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মোনায়েম মুন্নাকে। নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই সারাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেতারা। এর মধ্যে পবিত্র হজ পালনে দীর্ঘ এক মাস মক্কা-মদিনায় ছিলেন সংগঠনের সভাপতি। এ কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রক্রিয়া অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে। তবে এবার পূর্ণ গতিতে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।