বল হাতে বাংলাদেশ টি-২০ দলের ভরসার জায়গা ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্লগ ওভরে তার স্লোয়ার, কাটার, স্টোক বলে প্রতিপক্ষ নাজেহাল হতো। নমনীয় কব্জির কোনটা স্লোয়ার, কোনটা গতিময় বাউন্স আঁচ করতে পারতো না প্রতিপক্ষ।
মুস্তাফিজের অভিষেকের পর টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ জয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওই মায়াবি স্লোয়ার-কাটারের গল্প। সেই মুস্তাফিজ নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। সরে গেছেন দলের ওই আস্থার জায়গা থেকে।
বল হাতে মুস্তাফিজের খরচের হাত এতোটাই বেড়ে গেছে যে, তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন। তাকে আর দলে অটোচয়েজও বলতে পারছেন না অধিনায়ক-কোচ-নির্বাচকরা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে যেমন সংবাদ সম্মেলনে এসে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কাটার মাস্টার খ্যাত ফিজকে নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা বললেন, ‘হয়তো, মুস্তাফিজ আর দলে অটোচয়েজ নয়। আমরাও তাকে নিয়ে চিন্তিত। তাকে নিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্নটা নতুন না। তবে আমরা এখনও বিশ্বাস করি, ফিজ ওয়ান অফ দ্য বেস্ট। হয়তে ওর বৈচিত্র কাজে লাগছে না বা সে কাজে লাগাতে পারছে না।’
মুস্তাফিজ সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন। লড়াইয়ে থাকা ম্যাচটা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অথচ ওমন ম্যাচ বের করতে ফিজের জুড়ি মেলা ভার ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ৪ ওভারে ৫০ রান খেয়েছেন। উইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ওভারে ২৭ কিংবা ৪ ওভারে ৩৭ রান তার সঙ্গে যায় না।
মুস্তাফিজের অস্ত্রের ধার কমে যাওয়ার পরও তিনি নিয়মিত একাদশে কেন? ওই প্রশ্নের ব্যাখ্যায় সুজন জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতার জন্য এগিয়ে রাখা হয় তাকে, ‘ফিজকে আমরাও এগিয়ে রাখি ওর অজ্ঞিতার জন্য। পেসারদের মধ্যে বেশি টি-২০ খেলেছে সে। আইপিএল খেলে। আশা করছি, মুস্তাফিজ খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসবে।’