অন্ত্র অর্থাৎ নাড়িভুঁড়ি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ, মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক স্বাস্থ্য সবই প্রভাবিত হয় অন্ত্রের অবস্থা থেকে।
শক্তিশালী এই অঙ্গ আবার প্রচণ্ড সংবেদনশীল। অগনিত ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া, মাইক্রোবস নিয়ে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োম’ তৈরি হয় যা হজমক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আর সেই ভারসাম্যই হল সংবেদনশীল যা সামান্য বিশৃঙ্খলাতেই বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন’য়ের ‘গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি’ বিভাগের ‘ক্লিনিকাল অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর’ ডা. ক্রিস দামান বলেন, “অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োম’ হল ‘ডিপ্লোম্যাট’, শিক্ষক আর শ্রমিক এই সবগুলোর সমষ্টি।
‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “ডিপ্লোম্যাট’য়ের কাজ হল শরীরের প্রবেশ করা ‘প্যাথোজেন’গুলোকে শায়েস্তা করা যাতে আমাদের শরীর অসুস্থ না হয়। শিক্ষকদের কাজ হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে কোনো ‘অটোইমিউন ডিজিজ’ দেখা না দেয় বা ‘অ্যালার্জি’র মাত্রা যেন লাগাম ছাড়া হতে না পারে। আর শ্রমিকদের কাজ হল অন্ত্র পর্যন্ত চলে আসা হজম না হওয়া খাবার যেমন- ভোজ্য আঁশকে ভেঙে বি ভিটামিন্স, অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদিকে পরিণত করা।”