আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ‘আকাশচুম্বি’ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ নানামুখি নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কিনলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে আপত্তি করবে না বলেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আায়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের সঙ্গে আলাপে তার ওই ‘উপলব্ধি’ হয়েছে।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পাল্টায় বেশ কয়েক পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের ইউরোপীয় শরিকরা।
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা বিশ্বে সার, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও খাবারের দাম বেড়ে গেছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকাতেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে নাভিশ্বাস উঠে গেছে সাধারণ মানুষের।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপায় খুঁজে দেখছে। ইতোমধ্যে অপরিশোধিত তেলের নমুনাও বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
নিষেধাজ্ঞার মুখে অন্য ক্রেতারা রুশ তেল কেনা থেকে পিছু হটলেও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাপক মূল্য ছাড়ে তাৎক্ষণিক টেন্ডারের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে বাড়তি তেল কেনা শুরু করে। চীনও আবার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলে খবর এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
এমনিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল কিনতে অন্য দেশের বাধা নেই। তবে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের অতিরিক্ত তেল কেনার বিষয়টি যে যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি, তা স্পষ্ট করেই বলেছে ওয়াশিংটন।