নাটোরের বাগাতিপাড়ায় খুন হওয়া সেই এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের প্রেমিকার ভাই রেজাউল করিমের দেওয়া তথ্যমতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে—নিহত জাহিদুলের প্রেমিকা, প্রেমিকার ভাই রেজাউল করিম (২০), তাদের বাবা মোবারক হোসেন (৪০) এবং খালা মাসুরা বেগমকে (৩০)।
নিহত স্কুলশিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁকফো নতুন পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে। গত রোববার সকালে কাঁকফোর কালারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জাহিদুলের পরিবারের দাবি ছিল—প্রেমঘটিত কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়া খাতুনের (১৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। রিয়ার পরিবারের লোকজন মিলেই তাকে হত্যা করেছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানা-পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ গতকাল সোমবার ওই কিশোরীকে থানায় নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বয়স বিবেচনায় রাজশাহীর সেফ কাস্টডিতে পাঠায়। তার দেওয়া তথ্যমতে কিশোরীর ভাই নাটোর সদরের মোহনপুর এলাকার রেজাউল করিম (২০) ও বাবা মোবারক হোসেন (মোফা) এবং খালা ওই একই এলাকার মাসুরা বেগমকে গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ভাই রেজাউলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার তাদের বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে ওই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি রেজাউল করিমের দেওয়া তথ্যমতে জাহিদুলের ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এর বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব না।’