এই মুহূর্তে টেলিভিশন দুনিয়ার ‘রিয়েলিটি কুইন’ বলা হচ্ছে রুবিনা দিলেইককে। বিগ বস জয়ের পর ‘খতরোঁ কা খিলাড়ি’, এবার ‘ঝলক দিখলা যা’-তেও আসতে চলেছেন তিনি। তবে এত সাফল্যের মাঝে ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে চান রুবিনা। ক্যারিয়ারে সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে রুবিনা বলেন, ‘আমার জীবনে ৭০ শতাংশই ব্যর্থতা, বাকি ৩০ শতাংশ সাফল্য। আমি সফলতার দিকে ফিরেও তাকাই না। ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে চলি। ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিই। ব্যর্থতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’
তবে পরপর রিয়েলিটি অনুষ্ঠানটিতে রুবিনাকে দেখে দর্শকের একঘেয়েমি চলে আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। একঘেয়েমি লাগতে পারে তাঁর নিজেরও। তবে ছোট পর্দার এই তারকা এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন, ‘আপনি যখন নিজের কাজটা উপভোগ করবেন, তখন সেটা কখনোই একঘেয়ে লাগবে না। শারীরিকভাবেও ক্লান্ত হবেন না। ‘খতরোঁ কা খিলাড়ি’র লম্বা শিডিউলের পর মুম্বাই ফিরে এসে ‘ঝলক দিখলা যা’র জন্য রোজ নাচের মহড়া দিতে হতো। সবকিছুই দারুণ উপভোগ করছি।’
কালার্স চ্যানেলের নাচের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলা যা’র বিচারকের আসনে দেখা যাবে মাধুরী দীক্ষিতকে। তাঁর মতো নৃত্যশিল্পীর সামনে নাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘মাধুরী দীক্ষিতের সামনে নাচা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি নার্ভাস ছিলাম। সব সময় মনের মধ্যে ঘুরত—তাঁর সামনে ঠিকঠাক পারফর্ম করতে পারব কি না।’ তবে রুবিনা উতরে গেছেন নিজের আত্মবিশ্বাসের জন্যই। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। নাচের সময় একটু নার্ভাস হয়ে পড়লেও কখনো এটাকে প্রশ্রয় দিইনি। চাইনি নার্ভাসনেস আমাকে দুর্বল করে দিক। নিজের ওপর বিশ্বাস থাকলেও অতি আত্মবিশ্বাস আবার ভালো নয়। আমি এ দুটোর মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলেছিলাম।’