পেপারবুক প্রস্তুত, বেঞ্চ নির্ধারণের আবেদন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৭

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ডেথ রেফারেন্সের জন্য পেপারবুক বা মামলার বৃত্তান্তও প্রস্তুত। এখন হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণের পালা। এরপর শুনানি শুরু হবে।


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী। আজ এ ভয়াবহ হামলার ১৮তম বার্ষিকী।


প্রায় চার বছর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে এ ঘটনায় করা মামলার রায় দেন আদালত। তাতে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মামলাটি এখন দ্বিতীয় ধাপে হাইকোর্টে শুনানি শুরুর পর্যায়ে রয়েছে।


কবে নাগাদ শুনানি শুরু হতে পারে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস


করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। যে কারণে রাষ্ট্রীয় জীবনেও মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। কেননা ডেথ রেফারেন্স ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা যে আপিল করেন, সেগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। সেই বেঞ্চে শুনানি হয়ে থাকে।


কোনো মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা হিসেবে পরিচিত। এ অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের জেল আপিল, আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর সাধারণত একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। তবে শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক প্রস্তুত করতে হয়।


আপিল শুনানির আগে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা জেল আপিল ও আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়ে থাকে। এই মামলায় সে প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পলাতক আসামিদের পক্ষে লড়তে রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে আইনজীবীও (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


২০২০ সালের অক্টোবরে নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এলে আসামিপক্ষে শুনানি করব।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us