ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া এফবি আমজাদ ট্রলারের ১৭ জেলেসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে চালনার বয়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে। এরপর এফবি সাগর কন্যা ট্রলারের সাহায্যে তারা শনিবার বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার আলীপুর মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছেছেন। উদ্ধার জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।
এদিকে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাঁচটি ট্রলার ডুবিতে ১৪ জন জেলে নিখোঁজ হন। এর মধ্যে এসাহাক মাঝির (৪৫) সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকি ১৩ জেলের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় সমকালকে এসব তথ্য জানান কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।
আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘কক্সবাজারের একটি ট্রলারের ১৭ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আমাদের এলাকার পাঁচটি ট্রলারের নিখোঁজ ১৪ জেলের মধ্যে একমাত্র এসাহাক মাঝির সন্ধান পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের এখনও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। কয়েকটি ট্রলারের মাধ্যমে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন চর এলাকায় নিখোঁজদের খোঁজা হচ্ছে। এসব জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের সহযোগিতা দরকার। নিখোঁজ জেলেরা বাড়ি ফিরে না আসায় তাদের পরিবারে আহাজরি চলছে।’
নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মণ্ডল সমকালকে জানান, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কোষ্টগার্ডের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাঁচটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হচ্ছে- এমভি মামনি-৩, এফবি সাইফুল, এফবি আল-মামুন, এফবি কুলসুম ও এফবি রফিক মিঝি। এর মধ্যে এফবি রফিক মিঝির ট্রলারে থাকা জেলেদের বাড়ি ভোলার হাজারীগঞ্জে। বাকি চার ট্রলারে থাকা জেলেদের বাড়ি পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুরে।