চরফ্যাশনের নিখোঁজ আট জেলের ১০ দিনেও সন্ধান মেলেনি। একদিকে শোকের মাতম অন্যদিকে রিনের বোঝা দিশেহারা পরিবার। নিখোঁজ জেলেরা চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিন আইচা থানার চর মানিকা ও শশীভুষণ থানা রসুলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্নদ্বীপ ঢালচর মৎস্যঘাট থেকে ইউসুফ মাঝি ১৩ জেলে নিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গপসাগরের ২৫/৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও ঢালচর সংলগ্ন বঙ্গপসাগরে যায়।
নদীর উত্তাল দেখে ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনার মুহুর্তে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ৫ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি ৮ জেলের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মিলেনি। নিখোঁজ ৮ জেলেরা হলেন- দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আবু পাটোয়ারীর ছেলে মোঃ রাছেল (২৮) ২নং ওয়ার্ডের, মোকলেছুর রহমানের ছেলে মোঃ তছলিম (৩০), ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ জাফরের ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩১), ৮নং ওয়ার্ডের আঃ মন্নান আখনের ছেলে আঃ রহমান আখন (৪০) ও নাছির মাঝীর ছেলে আঃ মন্নান (৩৪), শশীভূষণ থানা রসুলপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সুলতান আহমেদ মল্লিকের ছেলে নাজু (৫০) ও মোঃ আক্কেল আলী বেপারীর ছেলে মোঃ ছাদেক (৪২) ৯নং ওয়ার্ডের (আট কপাটের) আবু হাওলাদারের ছেলে মোঃ জুয়েল (২৯) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে জানা যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ইউসুফ মাঝির শ্যালক ছালাউদ্দিন কাজী জানান, বৈরি আবহাওয়ায় সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট ) ১৩ জেলেসহ ইউসুফ মাঝির মাছধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ইউসুফ মাঝিসহ ৫ জেলে উদ্ধার হলেও ৮ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া জেলেরা পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন।