নাকের দুই পাশে কিছুদিন পরপরই ব্ল্যাকহেডসে ভরে যায়? এটি আপনার সৌন্দর্য তো নষ্ট করেই, হয়ে দাঁড়ায় অস্বস্তির কারণও। এই সমস্যা নিয়ে ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। দূষণ, ধোঁয়া, ধুলোবালির কারণে আমাদের ত্বকে ময়লা জমতে থাকে। যে কারণে লোমকূপগুলো ভালোভাবে অক্সিজেন পায় না। সেখান থেকেই দেখা দেয় ব্ল্যাকহেডস-সহ নানা সমস্যা। তাই নিয়মিত সঠিক উপায়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
ব্ল্যাকহেডস কী?
সঠিকভাবে পরিষ্কার না করতে পারলে আমাদের ত্বকে দিনের পর দিন ময়লা জমতেই থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আমাদের নাকের দুই পাশে সাধারণত বেশি তেল নিঃসরণ হয়। সেখানে ত্বকের পোরস, মৃত কোষ ও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বদ্ধ হয়ে থাকে। এটিই হলো ব্ল্যাকহেডস।
ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য পার্লারে ছোটেন অনেকে। সেখানে ফেসিয়াল করার সময় ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন পড়ে বাড়তি খরচ আর সময়ের। এই সমস্যা সমাধানে আপনাকে পার্লারে না ছুটলেও চলবে। বাড়িতে থাকা পরিচিত কিছু উপাদানে দূর করতে পারবেন ব্ল্যাক হেডস। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়-
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে দুধের ব্যবহার
দুধ শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয়, এটি নানাভাবে ব্যবহৃত হয় রূপচর্চার কাজেও। দুধে থাকে এনজাইম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এসব উপাদান ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে দুধ ব্যবহার করলে তা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতেও কাজ করে। যে কারণে দূর হয় ত্বকের বলিরেখাও। ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য দুই টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর এতে মেশান সামান্য সামুদ্রিক লবণ। মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন ব্ল্যাকহেডসের উপর। হালকা হাতে ঘষে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হবে অনেকটাই।
ওটস দিয়ে ব্ল্যাকহেডস দূর
ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ওটস। ওটসের গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি ও মধু মিশিয়ে নিন। ওটস আমাদের ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। অপরদিকে মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ। যেখানে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে সেখানে এই প্যাক লাগিয়ে নিন। সামান্য ঘষে নিন। এরপর দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।