ভিটামিন বি-১২ আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সার্বিক বৃদ্ধি, নতুন কোষ গঠন, রক্ত উৎপাদন এবং প্রোটিন ও টিস্যু সিন্থেসিসের জন্য এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ। অ্যানিমিয়া, ক্লান্তি এবং হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর হয় ভিটামিন বি-১২ তে। ভিটামিন বি-১২ নিজে থেকে তৈরি হয় না। আমরা যে খাবার খাই সেগুলো থেকে তৈরি হয় এই ভিটামিন। মাঝে মধ্যে সাপ্লিমেন্ট খাবার খেয়েও এর ঘাটতি মেটানো হয়।
ভিটামিন বি-১২-এর প্রধান কাজ লৌহিত্য রক্তকণিকা ও ডিএনএ তৈরি করা। এই ভিটামিন মস্তিষ্ক ও স্নায়ু কোষের বিকাশে সাহায্য করা। তাই শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় ভিটামিন বি-১২ বিকল্প নেই। অন্যথায় দুর্বল হয়ে পড়বেন। আসুন জেনে নিই কিভাবে বুঝবো আমাদের শরীরে ঘাটতি রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের-
মুখের স্বাস্থ্য সমস্যা
ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি হলে মুখ ও জিহ্বার সমস্যায় পড়বেন। এই ভিটামিনের অভাবের কারণে লৌহিত্য রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না। ফলে জিহ্বা ও মুখে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। ফলে মুখে ও জিহ্বায় জটিলতা তৈরি হয়।
ঘা ও লালচে জিহ্বা (গ্লোসাইটিস)
গ্লোসাইটিস হলো এক ধরনের ঘা। এর কারণে জিহ্বা ফুলে যায় এবং লাল হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আবার ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতও দেখা দেয়। সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তাই জিহ্বায় এগুলো হলে বুঝবেন ভিটামিন বি-১২-এর অভাব রয়েছে।
জিহ্বার আলসার
জিহ্বার আলসার ভিটামিন বি-১২-এর কারণেই হয়ে থাকে। অভাবের পরিমাণ যদি অধিক হয় তাহলে খুব বিপদে পড়ে যাবেন। মুখে আলসার তো হবেই, সঙ্গে রক্তশূন্যতাও হবে। কারণ ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে আপনার শরীর লৌহিত্য রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না।
ফ্যাকাশে ও জ্বালাপোড়া
ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে জিহ্বা ফ্যাকাশে হয়ে যায়, জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তখই বুঝবেন আপনি ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে ভুগছেন।