আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ভাড়াটিয়া রশিদ, হুদা। তারা হচ্ছেন স্রেফ ভাড়াটিয়া খুনি। মূল মাস্টার মাইন্ড পরাশক্তি। বিদেশি শক্তি বাদ দিলে জিয়াউর রহমান এক নম্বর।’
আজ রোববার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিজের নামে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান উচ্চাভিলাষেরই প্রমাণ দিয়েছেন দাবি করে লিটন বলেন, ‘পরে যখন বলা হলো, আপনাকে কে চিনে আপনি ঘোষণা দেওয়ার কে? তখন বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে ঘোষণা দিল।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, ‘এই যে উচ্চাভিলাষ তখন থেকেই খন্দকার মোস্তাক, বদরুল হুদা, রশিদ, ফারুক, ডালিম তাঁদের মধ্যে একটা যোগ সূত্র হলো। তারই প্রমাণ হলো ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু খুন হয়ে সিঁড়িতে পড়ে আছেন, তখন জিয়াউর রহমান সাড়ে ৪টার দিকে লাইট জ্বালিয়ে শেভ করছেন। তিনি তৈরি হবেন কারণ তাঁর মিশন কমপ্লিট হয়েছে। এখন তাঁকে যেতে হবে, পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য।’
লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়িতে পড়ে আছে, জিয়াউর রহমান কিছুদিনের জন্য মোস্তাককে ক্ষমতায় দিল, খুনির দায় মুক্তিতে জিয়ার নির্দেশে সংসদে পাঠাল। পরে জিয়াউর রহমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করল।’
দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিসহ নানা কৌশলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।