মাতৃগর্ভের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছেড়ে নবীণ আগন্তুক যখন সুতীব্র চিৎকারে তার আগমনী বার্তা জানান দেয় এই পৃথিবীকে, তখন মা-বাবা, পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যেমন এক অনাবিল আনন্দের মুহূর্তের সূত্রপাত হয়, ঠিক তেমনি প্রতিটি পদে পদে চলতে থাকে নবজাতক নিয়ে দুঃশ্চিন্তা। এই বুঝি সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটির কোন সমস্যা হয়ে গেল!
সাধারণত হাসপাতালে শিশু প্রসব হলে সেখানে শিশু চিকিৎসক নবজাতককে দেখে থাকেন এবং অসুস্থ মনে হলে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সুস্থ সবল নবজাতকদের মধ্যেও নানা ধরণের উপসর্গ আসতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো অসুখের পর্যায়ে পড়ে না, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাই এইসব উপসর্গের ব্যাপারে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা থাকা প্রয়োজন।
প্রথমেই আসি কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরূরি সে প্রসঙ্গে।
১. নবজাতকের শ্বাসকষ্ট
নিচের তিনটি লক্ষণের এক বা একাধিক লক্ষ্মণ যদি থাকে-
ক. প্রতি মিনিটে শ্বাসের গতি ৬০ বা তার বেশি
খ. শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের নিচের অংশ গভীর ভাবে দেবে যাওয়া
গ. শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শব্দ হওয়া।
২. যদি প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শিশুর জন্ডিস দেখা দেয়। নবজাতকের জন্ডিসের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেগুলো হলো
- মায়ের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ এবং শিশুর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে। মায়ের রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ এবং শিশুর রক্তের গ্রুপ এ কিংবা বি পজিটিভ- এসব ক্ষেত্রে শিশুর মাত্রাতিরিক্ত জন্ডিস হতে পারে।
৩. যদি শিশু বুকের দুধ টেনে খেতে না পারে এবং নিস্তেজ হয়ে থাকে। এই উপসর্গগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।
৪. প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব না করলে এবং প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পায়খানা না করলে।
৫. কনজাংটিভাইটিস – শিশুর চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সঙ্গে চোখে পিঁচুটি বা পুঁজ জমা হওয়া।