প্রকৃতি সংরক্ষণে উদাসীনতা আত্মঘাতী

দেশ রূপান্তর সাধন সরকার প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৯

প্রতি বছর পৃথিবীতে ‘বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস’ পালিত হয়। দিবসটি আসে, আর বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে যথারীতি এ বিষয়ে নানা সভা-সেমিনার আয়োজন করে। কিন্তু এই দিবস পালনের মধ্যেই কেন জানি সবকিছু সীমাবদ্ধ থেকে যায়! অথচ, বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত গত এক দশক আগে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দূষণ বৃদ্ধি তথা প্রকৃতি-পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো বিষয়গুলো কী পর্যায়ে ছিল আর বর্তমানে সেসব কী অবস্থায় আছে।


করোনাকাল আমাদের আরও ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে এবং অতি সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াও আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন কতটা সত্য। এসব কিছুই এই বার্তা দিচ্ছে যে, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে নয়, বন্ধুত্ব করেই পৃথিবী নামক এই ছোট্ট গ্রহে টিকে থাকতে হবে।


প্রকৃতিপ্রেমিক বৃক্ষসখা দ্বিজেন শর্মার মতে, ‘প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংগ্রাম তখন থেকে শুরু হয়েছে, যখন মানুষ আগুন আবিষ্কার করেছে। মানুষ এতটা শক্তি অর্জন করেছে যে, ইচ্ছে করলে মুহূর্তেই পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিতে পারে; যদিও তারা আরেকটা পৃথিবী তৈরি করতে সক্ষম নয়।’ আমাদের পৃথিবী একটাই। পৃথিবী নামক এই ছোট গ্রহের মধ্যেই প্রায় আটশ কোটি মানুষের স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও বেঁচে থাকা। প্রকৃতি ও পরিবেশ ভালো থাকার ওপরই নির্ভর করছে আমাদের টিকে থাকা। আমাদের নিজেদের স্বার্থে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে, প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে।


আমাদের দেশের প্রকৃতি বৈচিত্র্যময় এবং অনেক সম্পদে ভরপুর। নদ-নদী, খাল-বিল, পাহাড়-বন, হাওর-বাঁওড়, মাটি আর বায়ু মিলিয়ে এক অপূর্ব প্রকৃতির সমারোহ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হিসেবে পরিচিত। একসময় এদেশে সাতশ টিরও বেশি নদ-নদী ছিল। সত্যি বলতে, একবিংশ শতাব্দীতে এসে এদেশে এখন ২৩০টির বেশি নদ-নদী খুঁজে পাওয়া যায় না! সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদী বিলীন হয়ে যাচ্ছে! এর দায় আমরা কোনোভাবে এড়াতে পারি না! দেশের বেশিরভাগ নদ-নদী দখল, দূষণ আর নাব্য সংকটে ভুগছে।


নদীর মতো প্রকৃতির সব উপাদানই মানুষের জীবনধারণের সঙ্গে জড়িত। প্রচন্ড রোদের মধ্যে আমরা একটু শীতল পরশ পাওয়ার জন্য গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিই। বৃক্ষ না থাকলে পানি যেমন সুপেয় হবে না তেমনি বায়ু নির্মলও হবে না। বিপরীতভাবে বায়ুতে বৃদ্ধি পাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ঘূর্ণিঝড়, দুর্যোগে গাছ আমাদের আগলে রাখে। বৃক্ষ আমাদের শিক্ষা দেয় নমনীয় হতে, ভালোবাসতে, নিয়ম মানতে, বিশ্বাসে দৃঢ় থাকতে। ইট-পাথর আর চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকলেও একটু সময় পেলেই আমরা ছুটে যাই প্রকৃতির কাছে, বনের কাছে, পাহাড়ের কাছে, নদীর কাছে। বুক ভরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিই। প্রকৃতি আমাদের মায়ের মতো। যে মা আমাদের আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে, আহার দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রকৃতি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রকৃতির থেকে একটু ভিন্ন। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এদেশের জাতীয় সংগীতে প্রকৃতির বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি দিজেন্দ্রলাল রায় বলেছেন, ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা,/এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,/ ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us