আলো ছড়ানো বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনের জীবনেও আঁধার সময় এসেছে। খ্যাতির মধ্যে থেকেও এ অভিনেত্রী ভুগেছেন মনের অসুখে।
অবসাদে-বিষণ্নতার কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মহত্যার চিন্তাও খেলেছে দীপিকার মনে। সেই ব্যাধি জয় করতে তিনি পাশে পেয়েছেন নিজের মাকে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ডিপ্রেশন’ এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার যুদ্ধের কথা বলেছেন এই বলিউড তারকা।
দীপিকা জানান, তার বিষণ্নতার লক্ষণ ধরতে পেরেছিলেন তার মা। সেটি ধরতে পেরে মেয়েকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছিলেন।
হতাশা আর অবসাদের সঙ্গে কীভাবে লড়তে হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি তেমন কোন কারণ ছাড়াই ভেঙে পড়তাম। এমনও অনেক দিন গেছে যখন আমি ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না। আমি শুধু ঘুমাতেই চাইতাম, কারণ মনে হত ওটাই সব কিছু থেকে পালাবার পথ। মাঝেমধ্যে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছি।“
দীপিকা বলেন, বেঙ্গালুরু থেকে তার বাবা-মা যখন মুম্বাইয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তিনি তাদের সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতেন।
“আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতাম যে সবকিছু ঠিক আছে। যারা মানসিক অবসাদে ভোগেন, তাদের মধ্যে এই চেষ্টাটা থাকে। তারা দেখাতে চায় যে তারা ভালো আছে।“
নিজের বিষণ্নতা নিয়ে দীপিকা যে এবারই প্রথম মুখ খুললেন, তা নয়। এর আগে অমিতাভ বচ্চনের ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ রিয়েলিটি শোতে এ সমস্যার কথা বলেছিলেন তিনি।
এই নায়িকা সে সময় বলেছিলেন, ২০১৪ সালে তার মধ্যে বিষণ্নতা দেখা দেয়। তার মনে হত, বেঁচে থাকাটাই বুঝি অর্থহীন।