নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বেই জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়ে নুরুল হাসান সোহানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় নেতৃত্বভার।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের ব্যর্থতায় হেরে গেলেও নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খুব একটা খারাপ খেলেনি। ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭ রানে হেরে যায় টাইগাররা।
অধিনায়ক সোহান একাই দলকে জেতানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পারেননি। ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সোহানের ব্যাটিংয়ে নামার দরকার পড়েনি। তবে তার বোলিং পরিবর্তন আর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশ ৭ উইকেটের সহজ জয়ে ফিরেছে সিরিজে।
এই সোহানই নেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কিপিংয়ের সময় পেসার হাসান মাহমুদের একটি ডেলিভারি হাতে লেগে আঙুলে চিড় ধরেছে সোহানের। ছিটকে গেছেন পুরো সফর থেকেই।
সোহান ছিটকে যাওয়ায় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলটাও এলোমেলো হয়ে গেছে। টিম কম্বিনেশন বাধ্য হয়েই বদলাতে হবে। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনকে। দলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সোহানের বদলে কে খেলবেন? প্রশ্ন এখন এটাই। টিম কম্বিনেশনে বড়সড় পরিবর্তন আনা হবে? নাকি শুধু মাহমুদউল্লাহকে একাদশে ফেরানো হবে?
এমনিতেই ফর্মে নেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এনামুল হক বিজয়ও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাদের একজন হয়তো এমনিতেই তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জায়গা হারাতেন।
সোহান ছিটকে পড়ায় সেই কাজটাও কঠিন হয়ে গেছে। একটি জায়গা পরিবর্তন করতেই হচ্ছে। যদি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেন, তবে হয়তো টিম কম্বিনেশন এত বদলাতে হবে না।
কিন্তু যদি রিয়াদও খেলেন, আবার মুনিম শাহরিয়ার আর এনামুল হক বিজয়েরও বিকল্প ভাবা হয়, তবে গড়বড় লেগে যাবে টিম কম্বিনেশনে। মুনিম শাহরিয়ারের বদলে পারভেজ হোসেন ইমন একাদশে সুযোগ পেতে পারেন। আর এনামুল হক বিজয়ের বদলে আসতে পারেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে তো বদল আসবেই, বদল আসবে বোলিং আক্রমণেও। অধিনায়ক মোসাদ্দেক অফস্পিনার হিসেবে তো থাকছেনই, থাকছেন শেখ মেহেদি। এর মধ্যে মিরাজও একাদশে ঢুকলে অফস্পিনারই হয়ে যাবে তিনজন।
কাকে রেখে অধিনায়ক কাকে ব্যবহার করবেন, কাকে কখন বোলিংয়ে আনা হবে; নতুন অধিনায়ক মোসাদ্দেকের জন্য সেটি কঠিন পরীক্ষা হবে।