বর্তমানে ছোট-বড় বেশিরভাগ মানুষই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন। ওজন কমাতে কতজনই না কতকিছু মেনে চলছেন। অনেকে তো বাজারের স্লিম টি কিংবা কফি পান করেও মেদ-ভুঁড়ি কমানোর চেষ্টা করছেন।
তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোসঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ মসলাও রাখতে পারেন। যা মেদ-ভুঁড়ি কমাতে দ্রুত কাজ করবে।
সম্প্রতি ভারতের একজন জনপ্রিয় ব্লগার রেখা খান্ডেলওয়াল ভুঁড়ি কমানোর একটি জাদুকরী চায়ের রেসিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
তিনি পরামর্শ দেন, সকালে খালি পেটে ৫ মসলার চা পানেই থাইরয়েড, ডায়াবেটিস এমনকি অতিরিক্ত ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
৫ মসলাগুলো হলো- ২ টেবিল চামচ ধনে বীজ, ২ টেবিল চামচ মৌরি বীজ, ২ টেবিল চামচ জিরা, ২ টেবিল চামচ ক্যারাম বীজ, ১ ইঞ্চি দারুচিনি স্টিক ও প্রয়োজনমতো পানি।
এই চা তৈরি করতে প্যানে সব মসলা হালকা টেলে নিতে হবে। তারপর তা পিষে গুঁড়ো করে নিতে হবে। হালকা গরম পানিতে এই গুঁড়ো মিশিয়ে দৈনিক সকালে পান করতে হবে।
চাইলে সব সব আস্ত মসলা পানিতে ফুটিয়েও তৈরি করতে পারেন বিশেষ এই চা। সবশেষে একটি কাপে চা ছেঁকে তাতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে সামান্য মধুও মেশাতে পারেন।
এই ৫ মসলায় আছে যত উপকারিতা
এই পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত সব মসলা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব কার্যকর। কিছু মশলা সহজে হজম ও বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। বাকি মসলাগুলো আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে সাহায্য করে।
১. জিরা বীজ- হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই বীজ। জিরা বীজে অপরিহার্য তেল থাকে যা অম্লতাকে উদ্দীপিত করে। এতে আরও থাকে আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ।
২. দারুচিনি- এই মসলায় প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ভরপুর। অতীতে দারুচিনি ডায়রিয়া, গ্যাস ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (জিআই) রোগের চিকিৎসার দাওয়াই হিসেবে ব্যবহৃত হত।
এটি পিরিয়ড ক্র্যাম্পের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়। দারুচিনি হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও পরিচিত।
৩. ক্যারাম বীজ- আজওয়াইন নামে পরিচিত এই মসলার মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি থেকে ওজন কমানোসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে জাদুকরী এই ভেষজ। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য খুবই দরকারি এক মসলা এটি।
৪. মৌরি বীজ- এই মসলা ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে এটি। এই মসলা খাওয়ার পর পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা মনে হয়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।
৫. ধনিয়া বীজ- ধনে বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। এছাড়া রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বাড়িয়ে তোলে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে আরও সাহায্য করে।