গত ২০ জুলাই অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আইএমএফের কাছে কোনো ঋণ চায়নি সরকার। আপাতত আমাদের ঋণ প্রয়োজন নাই।’ সপ্তাহ পার না হতেই অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেল, আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি, এডিবি থেকে ১০০ কোটি ও বিশ্বব্যাংক থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চাওয়া হবে। এ ছাড়া জাইকার কাছেও ব্যালান্স অব পেমেন্ট সহায়তা চাওয়া হয়েছে; যদিও জাইকা সাধারণত প্রকল্প সহায়তা দিয়ে থাকে।
ইতিমধ্যে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ঋণ গ্রহণের ইচ্ছাপত্র দেওয়া হয়েছে। অনুমান করি, সঙ্গে অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতির স্মারকলিপিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ‘রুগ্ণ অর্থনীতির ডাক্তার’ নামে পরিচিত আইএমএফ এখন শহরে। বাজেট সহায়তা হিসেবে প্রদত্ত আইএমএফের ঋণ সহজ শর্তের—অপেক্ষাকৃত দীর্ঘমেয়াদি ও কম সুদের। তবে এ ঋণ প্রদানের শর্ত হলো, গ্রহীতা দেশকে আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার করতে হবে। যাতে করে আইএমএফের ভাষায় ‘অর্থনৈতিক সংকটের কারণগুলো দূরীভূত হয় এবং আইএমএফ তাদের দেওয়া ঋণের অর্থ ফেরত পেতে পারে।’