বাতাসে থাকা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের প্রভাব কমিয়ে বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে ইনডোর প্ল্যান্টের জুড়ি নেই। ১৯৮০ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. বিল ওলভার্টন কিছু ইনডোর প্ল্যান্টের উপর একটি নিরীক্ষা চালান। ঘর থেকে একটি করে গাছ নিয়ে গ্যাস চেম্বারে রেখে দেন দেখার জন্য যে কোন গাছ বাতাসে থাকা দূষণ দ্রুত কমাতে পারে। এই নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১৯৮৯ সালে নাসা ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে কার্যকর এমন ইনডোর প্ল্যান্টের একটি লিস্ট তৈরি করে। বেশ লম্বা এই লিস্ট থেকে ৫টি গাছের নাম ও এদের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে পাঠকদের জন্য।
১। জি জি প্ল্যান্ট
জি জি প্ল্যান্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে খুব কম যত্নেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। খুব কম পানি প্রয়োজন হয় এর। ১০ থেকে ১২ দিন পর পর সামান্য পানি দেবেন। সরাসরি রোদ পরে এমন স্থানে রাখবেন না জি জি প্ল্যান্ট। এই গাছ গাড়ির ধোঁয়া থেকে আসা দূষণ রোধ করতে সক্ষম।
২। রাবার প্ল্যান্ট
বেশ কয়েক ধরনের রাবার প্ল্যান্ট পাওয়া যায়। পছন্দসই একটি রাবার গাছ রেখে দিতে পারেন ঘরে। এই গাছের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মাটি ভেজা থাকতে হবে সবসময়। তবে এমনভাবে পানি দেবেন না যেন পানি জমে থাকে। খুব দ্রুত লম্বা হয়ে যায় রাবার গাছ। বড় হয়ে গেলে লম্বা লাঠির সঙ্গে বেঁধে দেবেন। সরাসরি রোদে রাখবেন না এই গাছ। তবে আলোবাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখতে হবে। ডিটারজেন্ট, পেইন্ট থেকে আসা এক ধরনের কেমিক্যাল আমাদের ঘরে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময় আসবাবে থাকে এই রাসায়নিক। এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ঘরকে মুক্ত রাখতে পারে রাবার প্ল্যান্ট।
৩। এরিকা পাম
একটু বড় জায়গা থাকলে এরিকা পাম রাখতে পারেন ঘরে। খুব বেশি আলোর প্রয়োজন নেই এই গাছের জন্য। বরং সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থানে রাখলে দ্রুত হলদে হয়ে যাবে এরিকার গোড়া। আবার পানির হেরফের হলে পাতার রঙ হলুদ হয়ে যাবে। দুই থেকে তিন দিন পরপর সামান্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেবেন মাটি। ঘরের বাতাস পরিশোধনে এর রয়েছে কার্যকর ভূমিকা।
৪। মনস্টেরা
অনেক ধরনের মনস্টেরা পাওয়া যায় নার্সারিগুলোতে। বাতাস বিশুদ্ধ রাখার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে জুড়ি নেই এই গাছের। মনস্টেরা ভালো রাখতে চাইলে মাটি সবসময় হালকা ভেজা রাখবেন। প্রাকৃতিক আলো আছে এমন ঘরে রাখুন। তবে সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থানে না রাখলেই ভালো করবেন।