শহরের মানুষের এখন নাকি সময়ই নেই। অথচ জীবন চালানোর জন্য অনেক কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে এমন কিছু যন্ত্র বেছে নিন, যেগুলো আপনার হয়ে কাজ করে দেবে আর আপনি একই সঙ্গে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচাবেন। তেমনি একটি যন্ত্র ওয়াশিং মেশিন। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিন খুব সহজেই আপনার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য গ্যাজেট হয়ে উঠতে পারে। সময় বাঁচানো অবশ্যই এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। এতে কাপড় দিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে দেখতে বসতে পারেন পছন্দের সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ। সময়মতো উঠে একটু কষ্ট করে কাপড়গুলো বের করে শুকাতে দিলেই হবে। ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় শুধু মেনে চলবেন।
যা মানবেন
- কাপড় ধোয়া হয়ে গেলে দরজাটা অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট খুলে রাখুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে এর ভেতরে তৈরি হওয়া আর্দ্রতা চলে যাবে এবং মেশিনের ভেতর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবে না। সেই সঙ্গে এর ভেতরে গন্ধও কম হবে। ভেতরটা শুকিয়ে গেলে শুকনো তোয়ালে দিয়ে একবার মুছে নিতে হবে।
- মেশিনে দুর্গন্ধ হলে পানিতে গোলাপজল, লেবুর রস বা ভিনেগার মিশিয়ে মেশিনের ভেতরটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। সেগুলো আপনি আপনার সময়মতো করে নেবেন।
- ডিটারজেন্ট বা সাবান অনেক সময় মেশিনের ভেতরে জমে থাকে। তাই কাপড় ধোয়ার কাজ হয়ে গেলে ভালোভাবে মেশিনের ভেতরটা পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
- ওয়াশিং মেশিনে একসঙ্গে বেশি কাপড় দেওয়া যাবে না। ধারণক্ষমতার চেয়ে কম কাপড় দিতে হবে। বেশি জামাকাপড় একসঙ্গে দিলে ধীরে ধীরে মেশিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং জামাকাপড়ও ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।
- কাপড়ের পকেটে ধাতব পদার্থের তৈরি ভারী কিছু থাকলে মেশিনে কাপড় দেওয়ার আগে তা খেয়াল করে সরিয়ে রাখতে হবে। না হলে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে এবং কাপড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
- ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পর বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রাখতে হবে।
- বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামা করলে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিটারজেন্ট নির্বাচন করা। বেশি ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারে মেশিন এবং কাপড় দুটোরই ক্ষতি হয়।