প্রখর রোদে পরিবেশ তেতিয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করে কাজ করলে তাপদাহে ত্বকে হতে পারে ঘামাচি। ঘটতে পারে তাপজনিত পেশি সংকোচন, তাপজনিত চরম পরিশ্রান্তি, তাপজনিত মুর্ছা যাওয়ার মতো ঘটনা। তবে প্রচণ্ড তাপদাহে মারাত্মক যে অবস্থা সৃষ্টি হয়, তার নাম হিট স্ট্রোক। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে পরিণতি হতে পারে মারাত্মক।
তাপাহতের উপসর্গ : অতিরিক্ত তাপদাহে দেহের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তপ্ত আবহাওয়ায় মেজাজ খিটখিটে ও নেতিয়ে পড়ে। তাপাহত হলে শরীরে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। শরীরের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। অনেক সময় তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করে। গা পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। বন্ধ হয়ে যায় ঘর্মগ্রন্থি। প্রথমদিকে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়। এতে শরীরের পানি ও লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে শরীরে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। ঘাম শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। শরীর ঠাণ্ডা হতে চায় না। বসা থেকে দাঁড়ালে যদি মাথা চক্কর দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বা চোখমুখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি উষ্ণতাজনিত চরম পরিশ্রান্তির শিকার। এর সঙ্গে শুরু হতে পারে মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, শ্রান্তি, ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা, মাংসপেশির ব্যথা এবং পেশিতে খিল লেগে যাওয়ার মতো অবস্থা। প্রথমদিকে ঘাম নিঃসরণ বেড়ে গেলে ও পরে এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা তখন হু-হু করে বাড়তে থাকে। নেমে আসে মানসিক বিপর্যস্ত, এলোমেলো আচরণ, মতিভ্রম, কথাবার্তায় আড়ষ্টতা, খিঁচুনি। একপর্যায়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।