পৃথিবীর সব মানুষই চান যৌবন ধরে রাখতে। কিন্তু বাস্তবে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। বার্ধক্য আসেই। সেই সঙ্গে মুখে পড়ে বলিরেখা। ত্বক হয় শিথিল। কিন্তু বয়সকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেজন্য অবশ্যই সুস্থ জীবনযাপন দরকার। সেই সঙ্গে আরও কিছু টোটকা আছে। হালফিলের বোটক্স বা কোনও সার্জারি নয়, বরং কয়েকটি খাবারেই রয়েছে বয়স কমানোর টোটকা। যা অ্যান্টি-এজিং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সঠিক খাদ্যের অভাবের কারণে বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষ রোগে জর্জরিত। ফলে খাবারের দিকে নজর দেওয়াটা জরুরি। সুস্থ থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট। আসুন জেনে নেয়া যাক যেসব খাবার যা আপনাকে রাখবে চির তরুণ।
হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-এজিং গুণসম্পন্ন। এটি কোষগুলোকে রক্ষা করে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। তাই হলুদকে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।
রসুন
রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান, যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আদা
সুস্থ যৌনজীবন বজায় রাখতেও অপরিহার্য হতে পারে আদা। আদার মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। প্রতিদিন একটি সিদ্ধ ডিমের সঙ্গে আদার রস ও মধু খেতে পারেন।
দই
দই মেদ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। যারা যৌবন ধরে রাখতে চান তাদের জন্য আশার কথা হচ্ছে নিয়মিত দই খান। দইয়ে প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। এছাড়াও দই ত্বককে রাখে বলিরেখামুক্ত। তাই যৌবন ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন দই খান।