কলকাতা বন্দরে ক্ষতিপূরণের ‘ফাঁদে’ আটকা ১৫ বাংলাদেশি নাবিক

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:২৯

কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশি জাহাজ মেরিন ট্রাস্ট-১ থাকা ১৫ জন নাবিক চার মাসের বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে আছেন। দীর্ঘ সময় কলকাতার মেরিন ক্লাবে থাকায় একজন নাবিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অন্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বাংলাদেশি জাহাজের ওপর চার্জ আরোপ ও তদন্তের স্বার্থে নাবিকদের ছাড়া হচ্ছে না দাবি করছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।


দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় পত্র চালাচালি হলেও নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সবশেষ ১৮ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে নাবিকদের ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করে জাহাজের মালিকপক্ষ। 


আল আমিন নামের এক নাবিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। জানিয়ে মেরিন ক্লাবে অবস্থানরত জাহাজের ক্যাপ্টেন একেএম মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে চার মাসের বেশি সময় হলো আমাদের কলকাতার মেরিন ক্লাবে রাখা হয়েছে। এখানে একই ধরনের খাবারে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। পরিবার পরিজনের কাছে যেতে পারছি না, এটা অনেক কষ্টের। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারিনি। আমাদের আল আমিন নামে এক নাবিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’ 


গত ২৪ মার্চ কন্টেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে কাত হয়ে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজটি। একপর্যায়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন মালিক। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।


নাবিকদের ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। 


গত ১১ মে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে তাঁদের প্রতিদিন ৪৬ লাখ রুপি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজটি থেকে নিঃসরিত তেলে সেখানকার পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। জাহাজটির বাংলাদেশি মালিকপক্ষ বিনা পয়সায় বন্দর থেকে সার্ভিস চেয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে জাহাজটি সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us