‘কেউ যদি দোষী হয়, তবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক’ ঠিক এভাবেই পার্থের ব্যাপারে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না নিয়েই এ মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার বঙ্গবিভূষণ প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ শোকাহত, সবাই সাধু বলছি না, কেউ যদি দোষী হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন মহিলা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, আরে সে নাকি পার্থর বন্ধু, আমি কি ভগবান; জানব কে কার বন্ধু, বলো দেখিনি এ কেমন মহামুশকিল। কেউ যদি দোষী হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক।’
সরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মমতার সরকারের দপ্তরের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই অবস্থায় প্রায় ৭২ ঘণ্টা পরে নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মুখ খুলে মমতা বলেন, ‘সারা জীবন রাজনীতি করেছি ভোগ করার জন্য নয়। ত্যাগের জন্য।’ আরও বলেন, ‘আমার গায়ে কালি ছেটালে, আমার কাছে আলকাতরা আছে।’
খানিকটা অবাক করে মমতা পার্থকে ডিফেন্ড করে বলেন, ‘কোন ক্ষেত্রে বলুন তো ১০০টা চাকরি দিতে গেলে ১টাও নিজের লোককে দেয় না?’ একই সঙ্গে পার্থকাণ্ডের পর বিরোধীদলগুলোর মমতাবিরোধী প্রচারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘সিপিএম-বিজেপির এত অহংকার? আমি আজ রাজনীতি না করলে জিভটা কেটে ফেলতে পারতাম।’
সোমবার নজরুল মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের তথা দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, মন্ত্রীরা দুর্নীতি করলেও রেয়াত করা হবে না। তার কথায়, ‘দুর্নীতিকে সাপোর্ট করা আমার নেশা বা পেশা নয়। আমি ১ লাখ টাকা করে পেনশন পাই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বেতন পেতে পারি। কিন্তু ১ পয়সাও নিই না। আমার আয় হয় বই লিখে, গান লিখে। তবে ক্লাসের সব স্টুডেন্ট একরকম হয় না। পার্থক্য থাকে। কেউ কখনও কখনও ভুল করতেই পারে।’