মধ্য জুন থেকে দেশের ১৮ জেলার শুরু হওয়া বন্যায় ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হওয়ার তথ্য দিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ দফার বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত বা অসুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮০ জন।
১৪ জুন সিলেট অঞ্চলে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় ৭২ লাখ ৮১ হাজার ২০৪ জনকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬ জন।
বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা যে আরও বেশি, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সে সংখ্যা সম্ভবত ৭২ জনের মত। তবে অন্যরা বজ্রপাতে, নৌকাডুবি, সাপের কামড়ে মারা গেছেন। শুধু বন্যায় ১২ জন মারা গেছেন, তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।“
অবকাঠামো ও ফসলি জমির ক্ষতির তথ্যও সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
>> ৮৭ হাজার ৪৪৯ একর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৪৭ হাজার ১৫২ একর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ১৮ হাজার ৪৭৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪৩টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ২২৯টি ব্রিজ ও কালভার্ট সম্পূর্ণ এবং এক হাজার ৪৯৬টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত
>> ৬৬৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ এবং ১৮৮৬ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ইট-খোয়া দিয়ে নির্মিত ৩১৫ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ এবং ৬৭৬ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ৭২১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ এবং ৬ হাজার ৮৫ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৪টি মাদ্রাসা, ৩৯টি মসজিদ, ৭টি মন্দির ও একটি গির্জা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।