সাগরে ইলিশ ধরা পড়ার সংবাদ আসছে কয়েক দিন ধরে। কিন্তু রাজধানীর বাজারে ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে যা মিলছে সেগুলোও পুরনো— ফ্রিজে সংরক্ষণ করা। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। উঠে গেছে সরকারি বিধিনিষেধ। বেড়েছে পানি-বৃষ্টি। যার প্রভাবে গভীর সাগরে ধরা পড়তে শুরু করেছে ইলিশ। কিন্তু রাজধানীর বাজারে সহজলভ্য হয়নি এখনও। সাগরে ধরা পড়া ইলিশগুলো আকারে ছোট বলেও জানিয়েছেন জেলেরা।
আবার জেলেরা জানিয়েছেন, সাগরে কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও নদীতে একেবারেই মিলছে না ইলিশ। বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুরের নদীতেও নেই প্রত্যাশা অনুযায়ী। এতে শুধু জেলেরাই নন, ক্ষতির শিকার হচ্ছেন আড়তদাররাও।
নদীতে কেন ইলিশ নেই
জানা গেছে, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়ার সময় নদীতে আসে। আবার সাগরে লবণের পরিমাণ বাড়লে বা পানি বেশি গরম হয়ে গেলেও ইলিশ নদীতে আসে। কিন্তু নানা কারণে নদীতে এখন আর ইলিশ স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছে না। নদীতে ডুবোচর বেড়ে যাওয়া ও দূষণকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
ইলিশের ধর্মই হচ্ছে সোজা পথে চলা। ডুবোচরে বাধা পেলে ওরা বিকল্প পথ না খুঁজে ফিরে যায় সাগরে। তবে শ্রাবণ মাসে সাগর-নদী সবখানেই পানি বাড়ার কথা রয়েছে। তাই সামনের দিনগুলোতে নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে, এমন আশায় আছেন নদীর জেলেরা।
জেলেরা জানিয়েছেন, শুধু ডুবোচরই নয়, নদীতে অত্যাধিক পলির কারণে পানিও ঘোলা। ঘোলা পানিতে ইলিশ বিচরণ করতে পারে না। আবার বৈরী আবহাওয়ার কারণেও উত্তাল সাগর থেকে নদীতে আসতে পারছে না ইলিশের ঝাঁক। যে কারণে হিজলা, কালিগঞ্জ, মেঘনা, ঢালচর, সোনারচর, রূপারচর নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।