বিশ্বের পরাশক্তিগুলো নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর রাষ্ট্র।
প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান পরাশক্তি হিসাবে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। শুধু প্রযুক্তি নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখার ব্যাপারে কোনো আপস করেনি।
মার্কিন পুঁজিবাদ স্বল্প শিক্ষিত আমেরিকানদের স্বার্থে কাজে লাগছে না। গত ৫০ বছরে ভালো চাকরি না পাওয়া এবং প্রকৃত মজুরি হ্রাস পাওয়ার ফলে ওখানকার জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে।
জীবনযাপন কঠিন হয়েছে জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়া এবং শ্রমিক শ্রেণির জীবনকে প্রায় মূল্যহীন ভাবার ফলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে বিদ্যমান কিছু প্রতিষ্ঠান, যেমন বিয়ে-শাদি, গির্জা এবং কমিউনিটি যারা দুঃখ-কষ্টে আছে তাদের সাহায্য করত।
এখন এই প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্বেকার ভূমিকা হারিয়ে ফেলেছে। সমাজে পরিচয় এবং মর্যাদা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে। জীবনের যে অর্থ ছিল তাও হারিয়ে গেছে। আত্মহত্যার ওপর বিশিষ্ট গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক এমিল দুরখিম বেঁচে থাকলে বলতেন আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর কারণ হলো, একদিকে ইচ্ছাপূর্বক আত্মহনন এবং অন্যদিকে সমাজে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে দুশ্চিন্তা এবং নেশাগ্রস্ত হওয়ার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। নেশার ফলে অস্থিরতাজনিত মৃত্যুও বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সমাজজীবনে নেতিবাচক প্রবণতা কেন বাড়ল এবং কীভাবে এ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়? সামন্তবাদের অবসানে পুঁজিবাদের উত্থান সমাজে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা-প্রশাখাগুলো সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্যক্তি মানুষের সামাজিক অবস্থান জন্মসূত্রে নির্ধারিত হয় না, এটা নির্ধারিত হয় মানুষের যোগ্যতা এবং দক্ষতার মাপকাঠিতে।