সাত বছর আগে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সুইমিংপুল নির্মাণ করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার জাতিসংঘ পার্কে নির্মিত সুইমিংপুলটিতে একবারের জন্যও সাঁতার কাটেনি কেউ। এখন খোদ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাই বলছেন, সুইমিংপুলটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সবুজ উদ্যান তৈরি করবে গণপূর্ত বিভাগ। ৬ জুলাই প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। গতকাল বুধবার সুইমিংপুলটি অপসারণে চসিককে চিঠিও দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। ফলে গচ্চা যাবে সিটি করপোরেশনের ৪ কোটি টাকা। নগরবাসীর করের টাকায় অপরিকল্পিত সুইমিংপুল নির্মাণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ সমকালকে বলেন, সুইমিংপুলটি ব্যবহার উপযোগী নয়। জিমনেশিয়ামটিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও গণপূর্তের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি এটি অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন সবুজ উদ্যান তৈরি করা হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুইমিংপুল ও জিমনেশিয়ামটি অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সদস্য ছিলেন সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর। তিনি বলেন, সুইমিংপুলটি নির্মাণের সময় নগর পরিকল্পনা বিভাগের কোনো অনুমোদন নেয়নি প্রকৌশল বিভাগ। এটির মূল উপকারভোগী পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদেরও আপত্তি রয়েছে। ফলে নির্মাণের পর এক দিনও এটি ব্যবহার হয়নি। সুইমিংপুলটি ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় সিটি করপোরেশন থেকেও আপত্তি দেওয়া হয়নি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুইমিংপুলটি পরিকল্পিতভাবেই নির্মাণ করা হয়েছে। আগে পার্কের একাংশে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন গণপূর্ত বিভাগ পার্কের পুরো অংশ নিয়েই সবুজ উদ্যান প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।