হুমায়ূন আহমেদকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের জাদুকর। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সুখ, দুঃখ ও স্বপ্ন তার কলমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। যে কারণে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো দেশের সব শ্রেণীর মানুষ আপন করে নিয়েছে। সাহিত্য ছাড়াও নাটক ও চলচ্চিত্রে হুমায়ূন আহমেদ যোগ করেছেন ভিন্ন মাত্রা। বহুমাত্রিক প্রতিভাধর এ লেখক শুধু বাংলাদেশে নয়, পশ্চিমবঙ্গসহ সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের কাছে পেয়েছেন প্রবাদপ্রতিম জনপ্রিয়তা। লেখকের জন্ম ও মৃত্যুদিনে তার গল্প, উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে বিস্তর আলোচনায় মেতে ওঠে সর্বস্তরের গণমাধ্যম। খুব বেশি আলোচনা হয় না তার লেখা গান নিয়ে। যেন লেখক, পরিচালক পরিচয়ের নিচে চাপা পড়ে যায় হুমায়ূন আহমেদের গীতিকার পরিচয়। যদিও গীতিকার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন না তিনি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়লেই বোঝা যায় অসম্ভব সংগীত অনুরাগী ছিলেন তিনি। তার গল্প, উপন্যাসে প্রায়ই দেখা যেত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হাছন রাজা, নজরুল ইসলামের গানসহ নানা লোকগান।
হুমায়ূন আহমেদ গান লিখেছেন কম। সাধারণত তার সিনেমা ও নাটকের জন্যই লিখেছেন। তার লেখা সব গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বই ও সিনেমার মতোই গানগুলোকে আপন করে নিয়েছে ভক্তরা।
যদি মন কাঁদে, চাঁদনী পসরে কে আমায় স্মরণ করে, একটা ছিল সোনার কন্যা, আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা, ও আমার উড়াল পঙ্খী রে ইত্যাদি গানগুলো এখনো সমান প্রাসঙ্গিক ও আবেদনময়ী।