রাজধানীর গাবতলী থেকে মালিবাগ যাওয়ার জন্য লাব্বায়েক পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন আবদুল হান্নান। সাধারণ সময়ে এই দূরত্বে ভাড়া নেওয়া হয় ২৫ টাকা। কিন্তু আজ সোমবার ঈদের বকশিশের নামে ভাড়া নেওয়া হয় ৫০ টাকা। এ নিয়ে বাসচালকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় হান্নানের।
হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বকশিশ তো মানুষ খুশি হয়ে যা দেবে। কিন্তু এরা তো জুলুম করে টাকা নিচ্ছে। বললাম, ২৫ টাকার ভাড়ায় ৫-১০ টাকা বেশি নাও। তারা দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। সারা দিনে ১০০-১৫০ টাকা নানাজনকে বকশিশ দিতে হলে কীভাবে চলে।’
গতকাল রোববার ছিল পবিত্র ঈদুল আজহা। এর আগে-পরের দুই দিনও ঈদের ছুটি। এই তিন দিন রাজধানীর বাসিন্দাদের বাস, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো গগণপরিবহনে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া পশুর হাটের পিকআপ ভাড়ায়, হাটের হাসিল ঘরে দায়িত্বরতদেরও বখশিশ দিতে হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা হাতে গোনা৷ যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাসের জন্য৷ বাসে উঠলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। মিরপুর ১ নম্বর থেকে সদরঘাট পর্যন্ত চলাচলকারী তানজিল পরিবহনে সাধারণ সময়ে ভাড়া ৩৫ টাকা। ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে বখশিশের নামে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
তানজিল পরিবহনের যাত্রী আবুল হাশেম বলেন, সাধারণ সময়েই সরকারের ঠিক করে দেওয়া বাস ভাড়া নেয় না৷ ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি ছিল। এখন ঈদের সময় বখশিশ নেওয়া ভাড়া তো দ্বিগুণ পড়ছে।