সাদিয়া সাজ্জাদ আমার বন্ধু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসঙ্গে থিয়েটার করতাম। ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকবার তাঁর রান্না করা খাবার খেয়েছি। সেই স্বাদ ভোলার নয়। এখনো রান্না নিয়ে সে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালায়। একদিন ফোন করে বললাম, কাল বাদে পরশু কোরবানি ঈদ, বাসায় প্রচুর মাংস জমে যাবে। মাংস দিয়ে ভিন্ন স্বাদের একটা খাবার বলো তো, যা সহজে তৈরি করতে পারব। খুলনার মেয়ে সাদিয়া কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স কোয়ার্টার থেকে উত্তর দেয়, 'আমার এক্সপেরিমেন্টাল একটা কাবাব আছে, এটা তৈরি করতে পারো।’ ‘কাবাবের মধ্যে আবার তোমার এক্সপেরিমেন্ট! আমাকে ঝামেলায় ফেলার এত ইচ্ছা কেন বলো তো?’ জানতে চাইলাম।
সাদিয়া হাসতে হাসতে বলে, ‘উপাদান সব তোমার হাতের নাগালেই আছে। আমার এক্সপেরিমেন্টের ওপর ভরসা রাখো। আর তোমাকে যদি ভুলভাল রেসিপি দিই, তাহলে তো জানি তুমি কী করবা! ফেসবুকে ট্যাগ দিয়ে আমাকে পচাবা। সেই ঝুঁকি আমি নেব না। কাবাবটা সবাই প্রশংসা করেছে। আমার নিজেরও ভালো লেগেছে। এ জন্য তোমাকে বলছি। আগে টুকে নাও। পরে ধন্যবাদ দিয়ো।'