যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইউরোপের এ দুটি দেশ ৩২ বছর আগেও এক দেশ ছিল- নাম সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেন ভেঙে পড়ে, সমতা বা সাম্যের স্লোগান যেন কেবল সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়, গোটা বিশ্ব থেকে বিদায় নেয় সেজন্য নানা কূটকৌশল ও দুষ্টবুদ্ধির আশ্রয় নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপের বন্ধু দেশগুলো। রাশিয়ায় তারা চেয়েছে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
কিন্তু এখন রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গলার কাঁটা। ইউক্রেন তাদের পরম মিত্র। এ দেশটির জন্য সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন জো বাইডেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক সৈন্য ও অস্ত্র। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে একক ক্ষমতায় পেরে উঠছে না ইউক্রেন। ইতোমধ্যে অর্থনীতি ও অবকাঠামোর বিপুল ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে, এমন শঙ্কা প্রবল। ইউক্রেনের ইতোমধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন পড়বে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার- এটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি। [তুলনা টানা যায়- বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন ডলার]
ইউরোপ আমাদের দেশ থেকে অনেক দূরে। আমেরিকা আরও দূরের দেশ। কিন্তু তাদের বিরোধ-সংঘাতে বাংলাদেশ কেবল নয়, আরও অনেক অনেক দেশ বিপর্যস্ত।