ভালো ঘুমের জন্য আদর্শ বিছানা ও বালিশের বিকল্প নেই। বিছানা ও বালিশ ঠিক না হলে ঘুমের ব্যাঘাতের পাশাপাশি হতে পারে শারীরিক সমস্যাও। সঠিক বালিশের ব্যবহার না হলে ঘাড়, পিঠ, কোমর, নিতম্ব, কাঁধ, হাঁটুসহ বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে। এমন সমস্যা হতে পারে বিছানার কারণেও।
বালিশ
ফোম ব্যবহার না করে তুলার বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। বালিশ বেশি উঁচু হবে না, আবার খুব নিচুও হবে না। কে কীভাবে ঘুমায়, তার ওপর নির্ভর করে বালিশ নির্বাচন করতে হবে। এমনভাবে বালিশ ব্যবহার করতে হবে, যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে। সাধারণত বালিশের উচ্চতা চার থেকে ছয় ইঞ্চি হতে পারে। তবে শারীরিক গঠন অনুযায়ী বালিশের উচ্চতা বাড়তে পারে। শক্ত বালিশ ব্যবহার করা ভালো। যেসব বালিশে মাথা একেবারে ডুবে যায়, সেগুলোর ব্যবহারে মেরুদণ্ডের অবস্থান ঠিক থাকে না।
কাত হয়ে, চিত হয়ে এবং কেউ উবু হয়ে—এ তিনভাবে ঘুমাই আমরা। কাত হয়ে ঘুমালে বালিশ একটু উঁচু হতে হবে, যেন মেরুদণ্ড বিছানার সমান্তরাল থাকে। এ ছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ দিয়ে শোয়া ভালো। এতে মেরুদণ্ড সাপোর্ট পাবে।
অনেকে মাথার নিচে দুটো বালিশ দেয়। এটি ঠিক নয়। এতে মাথা উঁচু হয়ে থাকে এবং কাঁধে ব্যথা হতে পারে। একটি বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। এ ছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে হাঁটুর নিচে একটি বা দুটো বালিশ রাখা যেতে পারে। আর উবু হয়ে ঘুমালে একটু পাতলা বা নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে; এই বালিশের উচ্চতা কম হলে ভালো হয়।