চলতি বছরের মার্চ মাসে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৬টি দেশের তালিকায় এ বছর ৯৪ নম্বরে এসেছে বাংলাদেশ। আগের বছর ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১। এ মাসেই আরেকটি বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেল, বিশ্বের সপ্তম দুঃখী দেশ হলো বাংলাদেশ।
বড় জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ জানিয়েছে তাদের ২০২২ গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট অনুযায়ী রাগ, দুঃখ ও মানসিক চাপে থাকা অবস্থার দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের সপ্তম স্থানে রয়েছে। তাদের নেগেটিভ এক্সপেরিয়েন্স ইনডেক্স সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এসেছে ৪৫। বছরের শুরুর দিকে করা এবং বছরের মাঝামাঝি সময়ে করা জরিপ দুটি বিপরীতমুখী অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
এখানে দুটি জরিপ এবং দুটি খবর নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। শুধু সংবাদপত্রের শিরোনাম বিবেচনায় নেওয়া হলে বিভ্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। কারণ প্রথমোক্ত খবরের শিরোনাম ‘সুখী দেশের তালিকায় ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ’। পরের জরিপটি জানাচ্ছে, ‘বিশ্বে সপ্তম দুঃখী দেশ বাংলাদেশ’। অর্থাৎ শুধু শিরোনাম দেখে বিচার করলে মনে হবে দুটি শিরোনামের তথ্য পরস্পরবিরোধী। একটিতে মনে হয় দেশ সুখের দিক থেকে এগিয়েছে, আরেকটিতে মনে হয় দেশ পিছিয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা জানেন কোনো বিষয় বা সমাজের ওপর গুণগত তথ্য সংগ্রহ করা হলে এ তথ্যের সংখ্যাগত পরিমাপ অনেক সময় জটিলতার সৃষ্টি করে। এক সময় অর্থনীতিবিদরা মনে করতেন উপযোগ বা ইউটিলিটি পরিমাপযোগ্য। যেমন একটি কমলা প্রথমবার খাওয়ার জন্য এর ভোক্তা ১০টি ইউটিল পেল, দ্বিতীয় কমলা থেকে ইউটিল পাওয়া গেল ৯টি।