প্রাণখোলা হাসি, সতেজ উপস্থিতি আর অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস—সব মিলে রাকুল প্রীত সিং। কন্নড় সিনেমা ‘গিল্লি’ (২০০৯) দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর অভিনয়জীবন। কলেজে পড়ার সময় থেকে মডেলিং করতেন। আরেকটু বেশি হাতখরচ পাওয়া যাবে—শুধু এটা ভেবেই ‘গিল্লি’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন রাকুল। তখনো আঁচ করতে পারেননি কত বড় বদল আসতে চলেছে তাঁর জীবনে! ‘গিল্লি’তে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর অভিনয় থেকে নেন সাময়িক বিরতি। পড়াশোনা শেষ করেন। ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায়ও নাম লেখান। দুই বছর বিরতির পর আবার সিনেমায় ফেরেন ২০১১ সালে। ওই বছর মুক্তি পায় রাকুলের প্রথম তেলুগু সিনেমা ‘কেরাতাম’। এরপর তিনটি তামিল ও আরেকটি তেলুগু সিনেমায় অভিনয়ের পর রাকুল নজর দেন বলিউডে। চলে আসেন মুম্বাইয়ে।
২০১৪ সালে ‘ইয়ারিয়া’ সিনেমা দিয়ে শুরু হয় রাকুলের বলিউড ক্যারিয়ার। তবে বলিউডে অতটা সাফল্য না পাওয়ায় কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন তেলুগু ও তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে। ২০২০ সালে ‘দে দে পেয়ার দে’ দিয়ে বলিউডে প্রথম সফলতার স্বাদ পান রাকুল। এ সিনেমায় তাঁর নায়ক ছিলেন অজয় দেবগন। জন আব্রাহামের সঙ্গে ‘অ্যাটাক’ এবং অজয়ের পরিচালনায় ‘রানওয়ে ৩৪’ দিয়ে এ বছর বলিউডে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে রাকুলের। একে একে যুক্ত হয়েছেন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘মিশন সিনডারেলা’, অজয়ের সঙ্গে ‘থ্যাংক গড’, আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে ‘ডক্টর জি’ ও ‘ছত্রিওয়ালি’র মতো বড় বাজেটের সিনেমায়।
রাকুল প্রীত বলেন, ‘আমি জানি, আমার পিছু ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ১০ বছর আগে যখন দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে এসেছিলাম, তখন একটি জিনিসই ছিল আমার সঙ্গে—আত্মবিশ্বাস। সেটা এখনো বিন্দুমাত্র কমেনি।’ এই আত্মবিশ্বাসের জোরেই ‘রানওয়ে ৩৪’-এর মতো তারকাবহুল সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ছোট চরিত্র দিয়েও পেয়েছেন সাফল্য। রাকুল বলেন, ‘সিনেমায় দুই-তিন-চার যত অভিনেত্রীই থাকুন না কেন, আমি পিছু হটি না। আমি জানি, আমি ভালো করলে সেই প্রাপ্তি কেউ নিতে পারবে না। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি না কখনো।’