দেশের বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেসরকারিভাবে আরও প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমতি পাচ্ছে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য আজ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, এসব প্রতিষ্ঠান মোট দুই লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক চাল আমদানির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল দুই লাখ চার হাজার টন এবং আতপ চাল ৪২ হাজার টন। এর আগে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালকে চিঠি দেওয়া হয়। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামানো হয়। চাল আমদানি ও বাজার করতে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। ঘোষিত হ্রাসকৃত শুল্কে চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া সব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে হবে। এ-সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিক ই-মেইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। অন্যান্য মর্তের মধ্যে রয়েছে- আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।