দেশে প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্ত হন ২২ হাজার মানুষ। আক্রান্তদের ৬০ ভাগ রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যান বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় চাই সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ২২ হাজার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। মারা যান ৭০ ভাগ রোগী। এর মধ্যে ৬০ ভাগ রোগী মারা যায় বিনা চিকিৎসায়।’
দেশে স্তন ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আর দেশের বাইরে কাউকে যেতে হবে না। সরকারিভাবে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিদেশ থেকে আমরা কোনো অংশে কম না। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ৯২ জন নারী চিকিৎসককে সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ফ্যাকাল্টি ডা. হালিদা হানুম আক্তার বলেন, ‘স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কার্যক্রম শুরু করা দরকার।’
হারমনি ট্রাস্টের সেক্রেটারি অমিতাব বলেন, শুরুতে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই নিয়মিত মা-বোনদের স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।