রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

আজকের পত্রিকা ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২২, ১৬:০২

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালের জুন মাসের শেষে কত দাঁড়াচ্ছে? বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণায় রিজার্ভ হয়তো ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে থাকবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এই ঘোষণা গ্রহণযোগ্য মনে করে না। কারণ, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) নাম দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকারের আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের ‘রিফাইনেন্সিং স্কিমের’ অধীনে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের প্রভাবশালী রপ্তানিকারকদের বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দিয়েছে, সেটাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত না করতে বলেছে আইএমএফ। তার মানে, বাংলাদেশের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।


সরকার যে তথ্যটা জনগণ থেকে লুকাতে চাইছে তা হলো, এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার অবয়বে আর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যেহেতু ঋণগ্রহীতা রপ্তানিকারকেরা ওই ইডিএফ ঋণের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় তাঁদের রপ্তানি আয় ঋণদানকারী ব্যাংককে ফেরত দিচ্ছেন না, তাই প্রায় সব ব্যাংকেই ওই ইডিএফ লোন ‘ফোর্সড লোনে’ পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছে। তার মানে, এই ইডিএফ লোন মানি লন্ডারিং প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ইডিএফের নামে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের পুঁজি পাচারের এহেন সহজ হাতিয়ার আমাদের সরকার কর্তৃক উপহার দেওয়ার কাহিনি দেশবাসীকে জানানো আমাদের কর্তব্য মনে করি।


রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণের ব্যাপারটি আরেকটু খোলাসা করা যাক। ইডিএফের ঋণ দেওয়া হয় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। রপ্তানিকারকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও একসেসরিজ আমদানির এল/সির বিপরীতে এই ঋণের বৈদেশিক মুদ্রা দেশীয় ব্যাংকের সঙ্গে বিদেশি ব্যাংকের লেনদেনে অন্তর্ভুক্ত করার কথা।


রপ্তানি পণ্যের মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পাওয়া গেলে ওই ঋণগ্রহীতার তাঁর দেশীয় ব্যাংককে সুদাসলে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ ফেরত দেওয়ার কথা। ফেরত পেলে তারপর ওই ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় ওই ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেবে, এটাই নিয়ম। এই প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের রিজার্ভ ইডিএফ ঋণের কারণে না কমারই কথা! এর জন্য সর্বোচ্চ ২৭০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়সীমার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ ব্যাংকে ফেরত না এলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ওই বাণিজ্যিক ব্যাংকের নামে ঋণটাকে ‘ফোর্সড লোনে’ পরিণত করে। ফলে, দেশীয় টাকায় ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত এলেও বৈদেশিক মুদ্রায় ফেরত আসবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us