১৯৭০ সালের সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনও অশীতিপর আবুল খায়েরের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে; এর ঠিক ১৮ বছর পর ১৯৮৮ সালে আরেকটি বড় বন্যার সময় তো তিনি বয়সে বেশ পরিণতই ছিলেন।
কিন্তু তার জীবদ্দশায় যত বন্যা গেছে, এবারকার বান ভয়াবহতার মাত্রায় আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের এই বাসিন্দা।
সিলেট অঞ্চলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হওয়ার মধ্যে আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “ই রখম বইন্যা আমার হায়াতে দেখছি না।”
জন্ম থেকে সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে পানির সঙ্গেই যেন তার মিতালী। ওই হাওরের মধ্যবর্তী দক্ষিণ বড়বন এলাকায় ৫০ বছর ধরে বাস করছেন আবুল খায়ের। তার যৌবনও কেটেছে এই হাওরেরই আরেক অংশে।
গত ১৭ জুন থেকে তার ঘরে যখন বানের পানি উঠতে থাকে, তখনও নিজের ঘরেই ছিলেন তিনি। ক্রমান্বয়ে পানি উঠে যায় প্রায় কোমর-অবধি।
উঁচু স্থানে যাওয়ার জন্য পরিবারের সাথে ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চড়তে গিয়েও শেষমেশ ফিরে আসেন আবুল খায়ের। ভয়, আতঙ্ক আর জীবনবাজি রেখে আপন নিবাসেই তারা থেকে যান।
পাশাপাশি দুই ঘরে খাটের উপর রাখা আরেক খাটে তিন দিন পার করতে হয় ওই পরিবারের ৮ সদস্যের। রান্নাবান্নাও হয় খাটের উপর, টিনের চুলায়।