ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছে রুমা আক্তার নামের এক নারী। দুই সন্তানের নাম রেখেছে হাসান-হোসেন। তার স্বামী দেড় বছর ধরে নিখোঁজ। এ অবস্থায় যমজ সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রেলস্টেশনে আশ্রয় নেওয়া এ নারী। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার মেয়ে রুমা আক্তার। ছোটবেলায় সৎমায়ের অত্যাচারে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। নির্দিষ্টভাবে বেড়ে ওঠার তার কোনো জায়গা ছিল না। ছুটে চলেছেন এখানে সেখানে।
কয়েক বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার কেল্লাশহীদ মাজারে আসেন। সেখানে হবিগঞ্জের ইব্রাহিম মিয়ার নামের এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এক কন্যাসন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল রুমার সংসার। দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের পর প্রায় ৯ মাস আগে মেয়েকে নিয়ে চলে যান স্বামী ইব্রাহিম। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বামী-সন্তানের খোঁজ পাননি। রুমা ভাড়া বাসা ছেড়ে আশ্রয় নেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। অন্যের কাছে হাত পেতে চলতো পেট। সুমি আক্তার নামের এক নারীকে মা ডাকতেন।
সেই নারী বুধবার (২৯ জুন) রাত ১১টার দিকে রুমাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রুমা আক্তার। ৩০ বছর বয়সী রুমা আক্তারের কোলজুড়ে এখন ফুটফুটে দুই সন্তান। তবে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার। নিজে এখানে সেখানে বেড়ে উঠলেও ছেলে সন্তানদের কীভাবে লালনপালন করবেন সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি।