গ্রামের শিক্ষিত যুবক আবির। সে এমন একটি হতাশাগ্রস্ত এলাকায় বাস করে যেখানকার মানুষ খুব সহজেই হতাশ হয় এবং সুইসাইড করে। গ্রামের মানুষের এই হতাশা ও সুইসাইড রোধ করতে অভিনব কৌশল বের করে আবির। ‘কান্না ঘর’ নামে একটি ঘর দেয় সে।
এই ঘরের বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে যে কেউ ইচ্ছা মতো চিৎকার করে কান্না করতে পারে। মানুষের মনের ভেতরে জমে থাকা কষ্ট দূর করতে পারে। কান্না ঘরে আছে একটি টেলিফোন, যা দিয়ে মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলে গ্রামের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
কিন্তু গ্রামে আবির কান্না ঘর বানিয়ে সবার কাছে হাসির পাত্র হয়ে যায়। যা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে না তার মা দিলরুবা বেগম ও ভালোবাসার মানুষ মিমি। সবাই তাকে কান্না ঘর ভেঙে ফেলতে বললেও সে রাজি হয় না। এতে মা ও মিমি দুজনেই তার উপর ভিষণ ক্ষিপ্ত হয়।