স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে হেফাজতে ইসলামের নেতারা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। জামিন পেলে সরকার 'বিব্রত' হয়- এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংগঠনের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের অশালীন মন্তব্যের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানিয়েছে হেফাজত।
সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মহাসচিব সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমির মাওলানা ফুরকানউল্লাহ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী ও সেক্রেটারি মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারী।
পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, 'আমরা কথা দিচ্ছি, জামিন-পরবর্তী তারা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না, যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নেতারা জানান, কারাবন্দি অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হুইলচেয়ারে আদালতে আনা হচ্ছে।
তাঁদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন কমিটিতে কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলে ধরা হয়েছে। ধর্ম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে ১১৬ আলেম-ওলামার তালিকা করা গণকমিশনকে আইনের আওতায় আনা এবং তাদের তৈরি শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্তের দাবিও জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, কারাবন্দি অসুস্থ নেতাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে। এ ছাড়া গণকমিশনের শ্বেতপত্রের কার্যকারিতা নেই। এ নিয়ে সরকার এগোবে না। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের কটূক্তির বিষয়ে হেফাজতের দাবি সম্পর্কে সরকারকে জানানো হবে। তিনি শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন কমিটিতে কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হেফাজত নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন।