শিক্ষায় এমন পক্ষপাতিত্ব আর কত চলবে

দৈনিক আমাদের সময় জোবাইদা নাসরীন প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ১৬:৫৫

‘বিত্তশালী বাবার একমাত্র মেয়ে সেজুতি এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়ে প্যান্ট-শার্ট পরে আধুনিক ভাব ধরে ঘুরে বেড়ায়। পাড়ার বখাটে যুবকরা প্রায়ই তাকে অশালীন কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করে। এ ব্যাপারে বাবার কাছে সেজুতি অভিযোগ করলে বাবা বলল, ‘তুমি শালীনভাবে চলাফেরা করো। কেউ তোমাকে কিছু বলার সাহস পাবে না’। না, এটি কোনো পারিবারিক কথোপকথন নয়, এটি বাংলাদেশের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সৃজনশীল অংশের প্রশ্নের একটি ভাগ। এখানেই শেষ হয়নি, এর পরের অংশে আছে প্রশ্ন। গ নম্বর প্রশ্নটি করা হয়েছে এভাবে- ‘অশালীন পোশাকের কারণে অধিকাংশ ইভটিজিং হয়ে থাকে। উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।’ পাঠক খেয়াল করুন এর পরের প্রশ্নটিও। ঘ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘সেজুতির বাবার কথার মূল্যায়ন করো’; যার অর্থ হলো শালীনভাবে চলাফেরা করলে কেউ কিছু বলার সাহস পাবে না।


এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো স্কুলটি নতুন কিংবা অজপাড়াগাঁয়ের নয়। ওই স্কুলটিরও রয়েছে যথেষ্ট খ্যাতি ও কদর। হ্যাঁ, এটি ঘটেছে এই সময়কালে রংপুর অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে পড়াশোনা করাটা অনেক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের জন্য খ্যাতি এবং মর্যাদার। এটি নিঃসংকোচে বলা যায়, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের শিক্ষা প্রদান শুধু যে শিক্ষানীতিবিরোধীই, তা নয়। প্রশ্নে এ ধরনের বিষয়ে অবতারণা করা মানেই ওই প্রতিষ্ঠান পাঠদানে এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের পড়ায়। এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে পাঠ করলে আমরা মহাভুল করব। কারণ শুধু যে পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই লিঙ্গীয় রাজনীতির পাঠ থাকে, তা নয়। যারা পাঠদান করেন, তাদের মধ্যেও চরম নারীবিদ্বেষ ও পোশাকের মধ্য দিয়ে নারীকে নিয়ন্ত্রণের রাজনীতির গভীর চর্চা হয়। সেটি আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যে শিক্ষক এ প্রশ্নটি করেছেন, তিনিও বিচ্ছিন্ন কেউ নন। তিনিও সমাজের মতাদর্শ লালন করেন এবং এরই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এই প্রশ্নে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us