দল অপ্রতিরোধ্য, কিন্তু অধিনায়ক যেন ছন্দহারা। যে ব্যাটের রুদ্ররূপে পুড়ে ছারখার হতো বোলাররা, সেই ব্যাট ধার হারিয়ে ঝিমিয়ে আছে অনেক দিন। ওয়েন মর্গ্যানকে নিয়ে প্রশ্নগুলি তাই উচ্চকিত হচ্ছে ক্রমেই। তবে দুঃসময়ে তিনি পাশে পাচ্ছেন সতীর্থদের। জস বাটলার যেমন সাফ জানিয়ে দিলেন, দলের ভেতর কোনো প্রশ্ন নেই মর্গ্যানকে নিয়ে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের যেখানে রানের প্লাবনে বিশ্বরেকর্ড গড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড, সেই সিরিজেই টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন মর্গ্যান। বুধবার শেষ ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি চোটের কারণে।
২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ঐতিহাসিক শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে এই সিরিজ পর্যন্ত ১৩ ওয়ানডে ইনিংসে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। একমাত্র সেঞ্চুরিটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
তার ফর্মের যাচ্ছেতাই অবস্থা মূলত টি-টোয়েন্টিতে। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেতৃত্ব থেকে বাজে ফর্মের শুরু, তা চলছে এখনও। ইংল্যান্ডের হয়ে গত ১৭ টি-টোয়েন্টিতে তার কোনো ফিফটি বা উল্লেখযোগ্য ইনিংস নেই। ২০২১ সাল থেকেই এই পর্যন্ত ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক সব মিলিয়ে ৪৩ টি-টোয়েন্টিতে তার ফিফটি নেই। এই সময়ে ৬৪৩ রান করেছেন স্রেফ ১৭.৮৬ গড় ও ১১৬.২৭ স্ট্রাইক রেটে।
ইংল্যান্ড দলে যে এখন প্রবল প্রতিযোগিতা, তাতে মর্গ্যানের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পেশির চোট বারবার হানা দেওয়াটাও ভোগাচ্ছে তাকে। আগামী বছরের নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি টিকবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের।