ঐতিহাসিক একটি সময়ে জন্ম আওয়ামী লীগের। ৭৩ বছর আগে জমিদার ও ধনিক শ্রেণির স্বার্থের বিপরীতে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পথ চলা শুরু দলটির। আজও ওই পথেই হেঁটে যাচ্ছে। এই পথ দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলন ও ত্যাগের। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নৌকা প্রতীকের এ দলটির প্রতি সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক সমর্থন ছিল এবং আছে। আওয়ামী লীগও জনগণের অধিকারের প্রতি আপসহীনভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছে। ওই ধারাবাহিকতা আজও বহমান। সঠিক পথে থেকেছে বলেই ইতিহাসের নানা বাঁকে অসাধারণ সব সাফল্য এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। বাঙালির পরম কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা এসেছে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যখন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, এর দুই বছর আগে ১৯৪৭ সালে জন্ম হয় পাকিস্তান রাষ্ট্রের। তবে যে আশা-আকাঙক্ষা নিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাঙালিরা অংশ নিয়েছিল, ত্যাগ স্বীকার করেছিল- নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর তাদের ওই স্বপ্ন ভেঙে যায়। বাঙালির ওপর নেমে আসে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন। রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলাকে অগ্রাহ্য করার মধ্য দিয়ে শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র উন্মোচিত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের পূর্ব বাংলাবিদ্বেষী কর্মকা-, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ, দেশ পরিচালনায় মুসলিম লীগের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দমননীতি, সাধারণ জনজীবনের বিপর্যয়সহ নানা ঘটনা ব্যাপকভাবে হতাশ করে। তৎকালীন এসব অবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ।